প্রকাশিত: Fri, Dec 29, 2023 8:04 PM
আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 11:48 PM

[১]কমলগঞ্জের বনবিটে বিপন্ন বনছাগল অবমুক্ত

স্বপন দেব: [২] মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনে বিপন্ন বনছাগলটিকে  অবমুক্ত করা হয়েছে। 

[৩] বনবিভাগ জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ জেলার শক্তিয়ারখলা বন বিটের ঢুলারা বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় নতুন এক প্রাণীটির দেখা পায় এলাকাবাসী। পরে বিজিবি সদস্য, স্থানীয় এলাকাবাসী ও বন বিভাগের কর্মীরা প্রাণীটিকে আটক করেন। সুচালো দুটি শিং, খাড়া কান আর লাল রঙের প্রাণীটিকে প্রথমে সবাই ভেবেছিলো হরিণ। 

[৪] বনবিভাগের লোকজন এসে সেটাকে বন্য হরিণ বা ‘রেড সেরো’ হিসেবে চিহ্নিত করে। সেখান থেকে উদ্ধার করে প্রথমে লাউয়াছড়া বনপ্রাণী রেসকিউ সেন্টারে রাখে এবং পরে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের সহায়তায় কমলগঞ্জের রাজকান্দি বনে বুধবার সন্ধ্যায় অবমুক্ত করা হয়। এই বনছাগলটি আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন)এর বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত। এটা রেড সেরো বা বনছাগল। 

[৫] মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, এক সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন বন বা ঝরনা অধ্যুষিত পাহাড়ি এলাকায় দেখা মিলত বনছাগলের। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও প্রাণীটি খুব একটা চোখে পড়ে না। 

[৬] তিনি আরও  বলেন, অতি বিপন্ন বনছাগল বা রেড সেরোটি উদ্ধারের পর তাদের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা হয়। গতকাল রাতে প্রাণীটিকে কমলগঞ্জের রাজকান্দি সংরক্ষিত বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

[৭] এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী বন সংরক্ষক(ওয়াইল্ড লাইফ) জামিল মোহাম্মদ খান, জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট তাজুল ইসলাম, সুব্রত সরকার প্রমুখ। 

[৮] বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার বলেন, উদ্ধারের পর সেরো বা বনছাগলটিকে সবাই হরিণের বাচ্চা হিসেবে ধারণা করেছিলেন। পরে তারা পরীক্ষা ও বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন এটি ‘রেড সেরো’ বা বনছাগল। বাসস্থানের সংকট ও অবৈধ শিকারের কারণে এ প্রজাতির বনছাগলের অস্তিত্ব বিশ্বজুড়েই হুমকির মুখে। 

[৯] বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এটি লম্বায় ৪ ফুট ও উচ্চতা সাড়ে ৩ ফুট। তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালের আইইউসিএনের মূল্যায়ন অনুযায়ী সেরো বাংলাদেশে বিপন্ন ও বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন প্রাণী হিসেবে স্বীকৃত।